শীঘ্রই চট্টগ্রামের হালিশহরে বিআরটিএ'র নতুন কার্যালয়ের যাত্রা

Passenger Voice    |    ১২:২০ পিএম, ২০২২-১২-১২


শীঘ্রই চট্টগ্রামের হালিশহরে বিআরটিএ'র নতুন কার্যালয়ের যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক।।  শীঘ্রই নগরীর হালিশহর এলাকায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নতুন আরেকটি কার্যালয়ের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা নতুন বছরের প্রথমদিকে কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে। এমনটি জানিয়েছেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা। তিনি বলেন, বর্তমানে নতুন অফিসের রংয়ের কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে তা শেষ হবে। এরপর চেয়ারম্যান মহোদয় অনুমতি দিলে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম মেট্রো এলাকায় যেহেতু দুইটা অফিস থাকবে, সেহেতু দুই অফিসে দুইজন উপ-পরিচালক এবং দুইজন সহকারী পরিচালক থাকবেন। যাতে সেবাগ্রহীতারা দ্রুত সেবা নিতে পারেন।

জানা গেছে, নগরীর ১৬টি থানাকে দুই ভাগ করে পরিচালিত হবে বিআরটিএ কার্যক্রম। বর্তমানে মেট্রো- এবং মেট্রো- এর কার্যক্রম হাটহাজারী থানার নতুন পাড়া এলাকায় চলছে। এতে নগরীর দক্ষিণপ্রান্ত থেকেও মানুষকে কষ্ট করে হাটহাজারী এলাকায় যেতে হচ্ছে। আর মানুষের কষ্ট এবং ভোগান্তি কমাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বিআরটিএ। নগরীর হালিশহরে একটি ভাড়া বাড়িতে বিআরটিএ মেট্রো- এর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

সুত্রমতে, বিআরটিএ কার্যক্রম আজ থেকে ১০ বছর আগেও নগরীর কোর্ট বিল্ডিং এলাকা থেকে পরিচালিত হত। দিনে দিনে কাজের চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিআরটিএ স্থানান্তর করা হয় হাটহাজারী থানার নতুনপাড়া এলাকায়। শহরের বাইরে নিজস্ব জায়গায় ভবনসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো গড়ে তুলে পরিচালিত হতে থাকে বিআরটিএ চট্টগ্রামের কার্যক্রম। এই কার্যালয় থেকে নগরীর ১৬টি থানা এবং জেলার ১৫টি থানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

বিআরটিএ এই কার্যালয় থেকে প্রতিদিন মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাক এবং প্রাইভেট কারের পাশাপাশি নানা ধরনের যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়নের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ এসব সেবার জন্য বিআরটিএ কার্যালয়ে ভিড় করেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিআরটিএতে ভিড় লেগে থাকে।

এদিকে, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রম অনলাইনে করতে গিয়ে কাজের ধরন পাল্টে গেছে। ছবি তোলাসহ বায়োমেট্রিক করতে দীর্ঘ সময় লাগছে। বায়োমেট্রিকে একজনের পাঁচ মিনিট করে সময় লাগলেও একজন মানুষ সর্বোচ্চ ৭০ জনকে সেবা দিতে পারেন। পাঁচটি টেবিলে ৩৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ জনকে সেবা দেয়া যায়। কিন্তু প্রতিদিন সেবাগ্রহীতা এই সংখ্যার বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মকর্তাদের। প্রায় প্রতিদিন কিছু মানুষকে ফেরত যেতে হয়। অপরদিকে শহরের পতেঙ্গা কিংবা হালিশহর অঞ্চল থেকে মানুষের বিআরটিএতে যাওয়াটা বেশ কষ্টের।

এমন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে বিআরটিএকে দুইভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। নগরীর হালিশহরের বড়পোল সংলগ্ন প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এমএ আজিজের বাড়িটির একটি অংশ বিআরটিএ ভাড়া নিয়েছে। ওই ভাড়া বাড়িতে অফিসের কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত ড়ান্ত হয়েছে। শীঘ্রই হালিশহরের ওই বাড়ি থেকে বিআরটিএ চট্টগ্রাম দক্ষিণের কার্যক্রম শুরু হবে। নতুন এই অফিসে গাড়ি রেজিস্ট্রেশন, গাড়ির ফিটনেস, চালকদের লাইসেন্স প্রদান নবায়ন, গাড়ির নম্বর প্লেট লাগানোসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে। নগরীর পতেঙ্গা, ইপিজেড, বন্দর, হালিশহর, পাহাড়তলী, ডবলমুরিং, সদরঘাট কোতোয়ালী থানার যাবতীয় কার্যক্রম হালিশহরে স্থানান্তরিত হবে। বর্তমান বিআরটিএতে নগরীর আকবর শাহ, বায়েজিদ, খুলশী, চকবাজার, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, বাকলিয়া এবং কর্ণফুলী থানার কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা  বলেন, মানুষের কষ্ট লাঘব করতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নগরীতে যানবাহন বৃদ্ধির পাশাপাশি কাজের পরিধিও বেড়েছে। তাই বিআরটিএ কার্যক্রম দুইভাগে বিভক্ত করা হচ্ছে। এতে সেবাগ্রহীতাদের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

পিভি/ জেএম/ ডেস্ক